খুলনার ঘাট এলাকা থেকে অপহৃত খাদ্য কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মজুমদারকে অপহরণের পর ১৫ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিল অপহরণকারীরা। সুশান্ত কুমার তিন লাখ ২০ হাজার টাকা দিতে সম্মত হন। বিকাশে ২০ হাজার টাকা নেওয়ার পরপরই পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়। রাত ১২টার দিকে তেরখাদা আজগড়া স্কুলের সামনে তাকে ফেলে চলে যায় অপহরণকারীরা।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অপহরণের ঘটনা সম্পর্কে এসব তথ্য দেন সুশান্ত কুমার। তিনি খাদ্য বিভাগের খুলনার ৪নং ঘাট ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার মূল পদ খাদ্য পরিদর্শক।
গত রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর ৪নং ঘাট এলাকা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন ব্যক্তি। অপহরণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। পুলিশের একাধিক টিম সাড়ে ৫ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে খুলনার তেরখাদা উপজেলার আজগড়া বিআরবি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে হাত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় সুশান্তকে উদ্ধার করে। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ঘটনায় ওই কর্মকর্তার স্ত্রী মাধবী রানী মজুমদার বাদি হয়ে ৫ অপহরণকারী এবং বিকাশে টাকা গ্রহণের দুই এজেন্টসহ ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
আসামিরা হলো তেরখাদা উপজেলার আজগড়া গ্রামের মো. রেজা, বাবু মন্ডল, জামাল হাওলাদার, নাছির, টুনু এবং বিকাশ এজেন্ট আলমগীর কবির ও মুসা খান। তাদের মধ্যে দুই বিকাশ এজেন্টকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মূল অপহরণকারী ৫ জন এখনও পলাতক।
এদিকে প্রধান অভিযুক্ত রেজার পরিচয় নিয়ে ধুম্রজাল তৈরি হয়েছে। রেজার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ছবি রয়েছে। ওই দলের যুব সংগঠনের নেতাদের সঙ্গেও তাকে দেখা গেছে। অবশ্য তারা রেজাকে ‘প্রতারক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, অপহরণের ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
খুলনা গেজেট/হিমালয়/এএজে